তিন সংস্থার কাছে ৫ বিলিয়ন ডলার চেয়েছে সরকার

86
রেমিট্যান্সে ৫ শতাংশ প্রণোদনা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জানিয়েছেন, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংক এবং জাইকা’র কাছে ৫ বিলিয়ন ডলার সাহায্য চাওয়া হয়েছে।

 

ড. ইউনূস বলেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে বাজেট সাপোর্ট চাওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে অতিরিক্ত ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, বিশ্ব ব্যাংক থেকে অতিরিক্ত ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, জাইকা থেকে অতিরিক্ত ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানের অনুরোধ করা হয়েছে।’

 

তিনি উল্লেখ করেন, পূর্ববর্তী সরকারের নীতির কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ‘তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে’। রিজার্ভ বৃদ্ধির এই অর্থ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি, বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ এবং দেশের সামগ্রিক আর্থিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ব্যবহার করা হবে।

 

তিনি আরও জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের অগ্রিমের অর্থ পরিশোধ এবং বকেয়া পাওনা নিয়ে রাশিয়া’র সাথে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আলোচনা চলছে।

 

জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা আরও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দেন:

  • জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারকে পুনর্বাসন এবং আহতদের চিকিৎসার সম্পূর্ণ খরচ সরকার বহন করবে।
  • জুলাই গণহত্যা স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ নামে একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
  • সন্ত্রাস দমন আইন ও ডিজিটাল/সাইবার নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
  • সকল কালো আইন বাতিল ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশোধন করা হবে।
  • গুমের প্রতিটি ঘটনা তদন্ত করার জন্য পৃথক কমিশন গঠন করা হচ্ছে।
  • দেশের পরিকল্পনা যেন দেশের মানুষ কেন্দ্রিক হয়, কোনো নেতা বা দল কেন্দ্রিক না হয় সে ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়।
  • সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের কথা ভাবছে সরকার।
  • নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং জনপ্রশাসন সংস্কারের জন্য ৬টি কমিশন গঠন করা হয়েছে।

ড. ইউনূস তার ভাষণে দেশের সকল নাগরিকের সহযোগিতা কামনা করেন।

Related Post:
রেমিটেন্সের বিপরীতে নগদ সহায়তা পদ্ধতি সহজ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক