
বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি বিকাশ, সিটি ব্যাংকসহ আরও কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে CIB (Credit Information Bureau) লাইসেন্স দিয়েছে। এর কারণ হলো—
কেন এই লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে?
-
ঋণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা
– আগে কেবল ব্যাংক ও এনবিএফআই (Non-Bank Financial Institution) গুলোই CIB রিপোর্ট অ্যাক্সেস করতে পারত। এখন বিকাশ, মোবাইল ফাইন্যান্স কোম্পানি বা পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডাররাও তাদের গ্রাহকের ক্রেডিট ইতিহাস যাচাই করতে পারবে।
– এর মাধ্যমে একজন গ্রাহক ইতোমধ্যেই অন্য ব্যাংক বা এমএফএস-এ ঋণ খেলাপি কিনা, তা যাচাই করে ঝুঁকি কমানো যাবে। -
ডিজিটাল ক্রেডিট/মাইক্রোলোন চালু
– বিকাশ, নগদ, রকেটের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো ছোট অঙ্কের ডিজিটাল ঋণ বা “মাইক্রো লোন” দিতে শুরু করেছে। এজন্য গ্রাহকের ঋণ পরিশোধ সক্ষমতা জানতে CIB ডাটাবেস দরকার হয়। -
আর্থিক অন্তর্ভুক্তি (Financial Inclusion)
– যারা আগে কখনো ব্যাংক ঋণ নেয়নি, তাদের ছোট ঋণ ও পরিশোধ রেকর্ড এখন থেকে সিআইবি তে সংরক্ষণ হবে। ফলে ভবিষ্যতে তারা ব্যাংক থেকে বড় ঋণ পেতে সহজ হবে। -
স্বচ্ছতা ও প্রতারণা প্রতিরোধ
– একই ব্যক্তি বা ব্যবসা যাতে একাধিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে খেলাপি না হয়, সেই জন্য সব ডেটা সিআইবি রিপোর্টে আসবে।
কোন কোন প্রতিষ্ঠান এই লাইসেন্স পেল?
প্রাথমিকভাবে যাদের দেওয়া হয়েছে (সংবাদ অনুযায়ী):
-
বিকাশ (bKash)
-
সিটি ব্যাংক
-
আরও কিছু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান (৫টি প্রতিষ্ঠান)
মূল উদ্দেশ্য হলো ডিজিটাল ঋণ, ক্রেডিট কার্ড, মাইক্রোফাইন্যান্স ও কনজিউমার ফাইন্যান্সে ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ।