সম্প্রতি এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের (ইআইএল) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. বদিউজ্জামান লস্কর। তিনি বিমা পেশায় ২৮ বছর ধরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।বদিউজ্জামান লস্কর ১৯৯৫ সালের ২ মে বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডে ডেপুটি ম্যানেজার পদে যোগদানের মাধ্যমে বিমা পেশায় কর্মজীবন শুরু করেন এবং ১৯৯৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। ১৯৯৭ সালের ১ অক্টোবর তিনি নর্দান জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডে সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এলিফ্যান্ট রোড শাখা প্রধান হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৯৯ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন।
১৯৯৯ সালের ১ ডিসেম্বর তিনি ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশ লিমিটেডে ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এলিফ্যান্ট রোড শাখা প্রধান হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০০১ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। পরে তিনি সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার ও লোকাল অফিস শাখা প্রধান হিসেবে ২০০১ সালের ১ আগস্ট তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডে যোগদান করেন এবং হেড অব মার্কেটিং হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ওই কোম্পানিতে ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন।
বদিউজ্জামান লস্কর ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড -এ সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও দিলকুশা শাখা প্রধান হিসেবে যোগদান করেন। পরে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি ও কোম্পানির কাকরাইল শাখা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন এবং ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে হেড অব মার্কেটিং হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
পরিচালনা পর্দ গত ২০২৩ সালের ৪ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত ৩০৫তম সভায় তাকে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিমা কোম্পানির নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) রোববার (২৮ জানুয়ারি) তার নিয়োগ অনুমোদন দেয়।
দীর্ঘ কর্মময় জীবনে মেধা, দক্ষতা ও সততার মাধ্যমে তিনি দেশের অন্যতম সেরা বিমা ব্যক্তিত্ব হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বদিউজ্জামান লস্কর গোপালগঞ্জ জেলার মকসুদপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি এবং শান্ত মরিয়ন ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি থেকে সমাজ বিজ্ঞান ও নৃবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন।